নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি

সংবাদপত্র ডেস্ক
স্বজনদের আহাজারি ছবি: সংগৃহীত
স্বজনদের আহাজারি ছবি: সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রূপনগরে আগুনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জন হয়েছে। প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, পরে আবার সাত জনের মরদেহ নতুন করে উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।


তবে স্বজনদের অভিযোগ, এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ঘটনাস্থল ও আশপাশের হাসপাতালে স্বজনরা প্রিয়জনের খোঁজে ছুটে যাচ্ছেন। অনেকেই প্রিয়জনের ছবি হাতে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

সুরমা বেগম তার মেয়ে নার্গিস আক্তারের খোঁজ পাচ্ছেন না। মেয়ের ছবি হাতে তিনি বলেন, “আর্মি, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস কেউ কিছু বলছে না। ভেতরে কী অবস্থা, মেয়ের কিছু হয়েছে কি না, কিছুই জানি না।”

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, পোশাক কারখানার ভিতরে প্রবেশ করা সম্ভব হলেও রাসায়নিক গুদামে এখনো প্রবেশ করা যায়নি। তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আশপাশে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করছেন। কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের স্বজনেরা ছবি হাতে ধরে খুঁজছেন প্রিয়জনদের।

মামা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ভাগনি মাহিরা (১৪) তিন তলায় কাজ করত। আগুন লাগার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আশপাশের হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিসে খোঁজ নিয়েছেন, কিন্তু তারা শুধু ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।

লাইজু বেগম বলেন, তার বোন নার্গিস আক্তার সকালে কাজে গিয়েছিলেন, এরপর থেকে কোনো খোঁজ নেই। আগুন লাগার খবর সকাল ১১টায় পেয়েছেন।

ইয়াসিন নামের এক ব্যক্তি ভাগনি সুলতানা ও তার স্বামীর ছবি হাতে বলেন, “আমার ভাগনি ও ভাগনির জামাই তিন দিন আগে কাজে ঢুকেছে। আজ সকালে দুজন একসঙ্গে আসে। আগুন লাগার পর ফোনে জানায়, তারা ভেতরে আটকা পড়েছে। এরপর থেকে কোনো খোঁজ নেই।”

স্বজনরা ক্ষোভও প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, সকাল থেকে উদ্ধার কাজ চলছে, কিন্তু এখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং ভেতরের পরিস্থিতি জানা যাচ্ছে না।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। অগ্নিনির্বাপণ শেষে ভেতরের পরিস্থিতি জানা যাবে।”

এলাকার খবর

সম্পর্কিত