যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ সরকারি খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল সংরক্ষণ ও ধান ক্রয়ের হিসাবের গড়মিলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকঅভিযান পরিচালনা করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক আল-আমীন এর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৪, ৫ ও ৬ নম্বর গুদামে নিম্নমানের চাল পাওয়া যায় এবং ধান ক্রয়ের হিসাবপত্র প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামসেদ ইকবালুর রহমান।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, তদন্তে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ মেলায় জামসেদ ইকবালুর রহমানকে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ যশোর দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার ১৭টি রাইস মিল থেকে ১২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার ৫৬ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি কেজি চালে ৬০ পয়সা করে কমিশন নেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামসেদ ইকবালুর রহমান ও উপ-খাদ্য পরিদর্শক ফারজানাকে ঘিরে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে গুদামে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।