মানুষের রিজিক নিয়ে কী বলেছেন আল্লাহ তায়ালা

ধর্ম ডেস্ক
 ছবি:
ছবি:


রিজিক শব্দের আভিধানিক অর্থ—এমন কিছু যা কোনো প্রাণী আহার্য হিসেবে গ্রহণ করে, যা তার দেহকে শক্তি জোগায়, বৃদ্ধি সাধন করে এবং জীবন রক্ষা করে।
পবিত্র কোরআন স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র রিজিকদাতা। তিনি সৃষ্টিকে সৃষ্টি করার পাশাপাশি তাদের রিজিকের দায়িত্বও নিয়েছেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন—

> “যমীনে বিচরণকারী কোনো প্রাণী নেই যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর উপর নয়। তিনি জানেন তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী আবাসস্থল; সবই আছে স্পষ্ট কিতাবে।”
(সূরা হুদ, আয়াত : ০৬)

 

অর্থাৎ, পৃথিবীর সব প্রাণীর—মানুষ, পশু, পাখি, স্থলচর, জলচর—সবার প্রয়োজনীয় রিজিকের দায়িত্ব একমাত্র আল্লাহর উপরই।

কেন হালাল উপার্জনে গুরুত্ব?

রিজিক নিয়ে ইসলামে মূল শিক্ষা হলো—রিজিকের জন্য চেষ্টা করতে হবে হালাল পথে। রুজির জন্য আল্লাহর উপর ভরসা রাখা জরুরি, তবে সেই সাথে বৈধ উপায়ও অবলম্বন করতে হবে।
এটিই তাওয়াক্কুল—আল্লাহর উপর নির্ভরশীলতা। শুধু ভরসা করলেই হবে না, চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যে রিজিক বরাদ্দ করেছেন, সেই রিজিক উপার্জনের পথকেই তিনি দুয়ার বানিয়েছেন।

উপায়ের সীমাবদ্ধতা

তবে মনে রাখতে হবে—উপায়ের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই। আল্লাহ চাইলে উপায় ফলপ্রসূ করেন, আবার চাইলে নিষ্ফল করেন। কখনো দেখা যায় চেষ্টা সত্ত্বেও ফল আসে না, আবার বিনা চেষ্টায়ও অনেকে অপ্রত্যাশিত রিজিক পেয়ে যায়।

এই জন্যই ইসলামে শেখানো হয়—উপায় অবলম্বন করো, তবে নির্ভর করো একমাত্র আল্লাহর উপর। তিনিই চূড়ান্ত রিজিকদাতা।


---

মূল বার্তা:
✅ রিজিকের জন্য হালাল চেষ্টা করো।
✅ আল্লাহর উপর নির্ভর করো।
✅ উপায় ও তাওয়াক্কুল—দুটোই ইসলামের হুকুম।

বিষয়:

এলাকার খবর

সম্পর্কিত