সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,বর্তমান সরকার কবি,শিল্পী,সাহিত্যিকদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক এবং তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষায় সচেষ্ট।এরই অংশ হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক মনীষীদের নামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যেখানে রাধারমণ দত্ত,শাহ আবদুল করিম ও দুরবীণ শাহসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মনীষী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।প্রকল্পটির ডিপিপি প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে।স্থাপত্য নকশা চূড়ান্ত পর্যায়ে।আশা করা যায়,এ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো যাবে।সেটি হলে শীঘ্রই রাধারমণ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হবে।প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমির নজরুল চত্বরে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (২৫-২৭ নভেম্বর) ‘রাধারমণ লোকসংগীত উৎসব’এর যুগপূর্তি উৎসব ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উৎসব উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জের প্রবীণ কীর্তনীয়া যশোদা রাণী সূত্রধর।
প্রধান অতিথি বলেন,কথায় আছে-যে দেশে গুণীর কদর নেই,সেদেশে গুণী জন্মায় না।গুণিজনদের সম্মান দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।নতুন প্রজন্ম তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পায়।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন,সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সাংস্কৃতিক মনীষী ও গুণিজনদের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ ও তাঁদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক মনীষীদের নামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সভাপতি মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ব আইটিআই এর সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার।আলোচনা করেন লোক গবেষক ও দৈনিক প্রথম আলোর সিলেট ব্যুরো চিফ সুমন কুমার দাশ।শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ড.বিশ্বজিৎ রায়।স্বাগত বক্তৃতা করেন রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সদস্য রজত বরণ দত্ত।উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী রূপা চক্রবর্তী।
Authorized ।। mizanur rahman