সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,৩৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা প্রতিবারের ন্যায় এবারও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব আয়োজন করেছে।তাঁদের এ অসাধারণ আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের মতো আয়োজনসমূহ আমাদের সংগীত জগতকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি এতে নতুন মাত্রা যোগ করে।প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা আয়োজিত দুই দিনব্যাপী (২৫-২৬ নভেম্বর) ‘৩৩তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিকগণ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছেন। সেরকম দু’জন শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম ও রফিকুল আলমকে সম্মাননা প্রদান নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সবসময় বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে আসছে।প্রতিমন্ত্রী এসময় সংগঠনটিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন।অনুষ্ঠানে দু’জন বরেণ্য শিল্পী যথাক্রমে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাচিক শিল্পী আশরাফুল আলম ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রফিকুল আলমকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযুষ বড়ুয়া।অনুভূতি ব্যক্ত করেন সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক রফিকুল আলম।বরেণ্য শিল্পী আশরাফুল আলম ও রফিকুল আলম সম্পর্কে শংসাবচন পাঠ করেন যথাক্রমে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সীমা সরকার ও সাগরিকা জামালী।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তানজিনা তমা।
উল্লেখ্য,সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।’ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা’, ‘তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায় তারই পারে’সহ বিভিন্ন হৃদয়গ্রাহী ও মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনকে সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে রাখেন দেশবরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীগণ।
Authorized ।। mizanur rahman