মোঃ মিজানুর রহমানঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন,দেশে বর্তমানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।পৌনে ৬ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছেন।এছাড়া ৬ লাখ লোক আইটি ফিনেন্সার হিসেবে কাজ করছেন।প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি,এডাস্ট ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২২,প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক ও ফিতা কেটে রোবোটিক্স,মেকাট্রনিক্স এন্ড অটো মেশিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক এমপি।
শিক্ষার্থীদের আইসিটিভিতে জ্ঞান অর্জন ও দক্ষ মানুষ হওয়া মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরির কাজ করে যাচ্ছে।উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমান সরকার।আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তি,ক্রিয়েটিভিটি, ক্রিটিক্যাল থিংকিং,প্রবলেম সলভিং,কমিউনিকেশন স্কিল এমনকি নতুন নতুন রোবট তৈরিতে সহায়তা করবে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জুনায়েদ আহমেদ পলক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন,সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৩ হাজার শেখ রাসেল ল্যাব স্হাপন করেছে সরকার।এছাড়া শিক্ষার্থীদের উদোক্তা হিসেবে প্রায় ৫/১০ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে সহায়তা করছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ভিত্তিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।এ জন্য সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচেছ।
এডাস্ট,উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর,উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মোঃ হাবিবুর রহমান,বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ এডাস্ট,চেয়ারম্যান লিয়াকত শিকদার,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ,বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুখ,আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এইচ এম বায়েজিদ,ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী সিরাজুল মণিরা ও মিঠুন মিনহাজ প্রমুখ।
এডাস্ট চেয়ারম্যান লিয়াকত সিকদার তার বক্তব্যে বলেন,উন্নত বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে তার সাথে খারাপ খাইয়ে নিতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে নাচ-গান,আবৃত্তি,অভিনয়,নাটক, কৌতুকসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।এ সময় অতীশ দীপঙ্কর ইইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার,পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক,বিভিন্ন অনুষদের ডিন,এডভাইচর,বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা কর্মচারী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়।
Authorized ।। mizanur rahman