বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট(স্যাকমো)মিরাজ আহম্মেদ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন।ফলে ফায়দা লুটছে স্থানীয় ক্লিনিক মালিকরা।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।চিকিৎসায় অবহেলা,অর্থ আদায়,রোগী ও রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট(স্যাকমো)মিরাজ আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে।শুধু তাই নয়,রোগী বাণিজ্য করে ক্লিনিক ও প্যাথলজি থেকে নানা উপঢৌকন গ্রহণ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লিনিক মালিক জানান,আমাদের ক্লিনিকে রোগীদের পাঠিয়ে টেস্ট করানো বাবদ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ৭৭৫১০ টাকার মোট টেস্ট করানো হলে পার্সেন্টিস হিসেবে ২৩,২৫৩ টাকা মিরাজ আহম্মেদ নিয়েছেন।এছারাও ২০২০ জানুয়ারি মাসে ৯,৭৬৫ টাকা, ২০২০ সালে মে মাসে ১,৯৫০ টাকা,২০২১ মার্চ মাসে ৩,২২৫ টাকা ২০২১ এপ্রিল মাসে ৪,৮৩৭ টাকা,২০২১ মে সাসে ৮,৫৮৭ টাকা,২০২১ জুন ১৭,১৬২ টাকা,২০২১ জুলাই ১০,৬৮৮ টাকা,২০২১ অগস্ট ৪,৬১২ টাকা ২০২১ সেপ্টেম্বর ৫,৫৮৭ টাকা,২০২১ অক্টোবর ৩,৬২৫ টাকা, ২০২১ মাসে ৫,০৬২ টাকা ২০২১ ডিসেম্বর ৬,৮৬২ টাকা টেস্ট করানো বাবদ পারসেন্টিস নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,২০২২ সালের ২১ মার্চ জাহানারা(৪৫)নামের এক রোগীকে রোগ নির্ণয়ের জন্য পাঁচটি টেস্ট কিডনি টেস্ট, আলট্রাসনোগ্রাফি,ব্লাড টেস্ট সিবিসি,এক্সরে,ইসিজি দিয়ে থাকেন।অথচ ঐ রোগীর টেস্ট করানোর পরে তেমন কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। বছরের পর বছর সাধারন রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসলেও কোনো কার্যকারী ব্যাবস্থা গ্রহন করছে না কর্তৃপক্ষ।অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২০ সালে গারুড়িয়া ইউনিয়নের রবিপুর গ্রামের এক রুগীর হাতে সামান্য চোট লাগায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তার হাতে পাকা প্লাস্টার করে ২ হাজার টাকা গ্রোহন করেন।পরবর্তীতে অন্য ডাক্তার দেখালে তার হাতে প্লাস্টার করার মত কোন ইনজুরির সত্যতা মেলেনি।এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট মিরাজ আহম্মেদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী অভিযোগ করলেও কোনো ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: ফজলে রাব্বী আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানান,এই ধরনের অভিযোগে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট মিরাজ আহম্মেদকে একবার বদলি করে দূর্গাপাশা পাঠানো হয়।যখন জরুরী বিভাগে কর্মরত এমবিবিএস ডা: পাশের রুমে রেস্টে থাকেন তখন মিরাজ রুগী দেখেন এবং নির্দিষ্ট একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করানোর জন্য রুগী পাঠান।এ বিষয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট মিরাজ আহম্মেদ জানান,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিএইচ স্যার যদি আমাকে রুগী দেখতে মানা করেন তাহলে আমি রুগী দেখবো না।এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী জানান,জরুরী বিভাগে সবসময় কর্মরত ডা:থাকেন।উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট যদি রুগী দেখেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Authorized ।। mizanur rahman