ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানীর বিমানবন্দর সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলমান রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে সিভিল এভিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলামের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাস ড্রাইভার হাসান মাহমুদ হিমেলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানিয়েছে, বাস চালানোর জন্য যথাযথ লাইসেন্স ছিল না চালক হিমেলের। এছাড়া রাইদা পরিবহনের ঘাতক বাসটির ফিটনেস সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিল না।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে র্যাব-১ ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালের হিজলা থেকে চালক হিমেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখনও পলাতক বাসটির হেলপার। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উত্তরায় র্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাসুদ হায়দার।
তিনি বলেন, গত ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর থানাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণাধীন অস্থায়ী বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনা ঘটায়। এসময় রাইদা পরিবহনের বাসটি একই দিকে গমনকারী মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়া সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে মোটরসাইকেলসহ চাপা দিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়।পরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন আহত মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেজর মোহাম্মদ মাসুদ হায়দার বলেন, নৃশংসভাবে হত্যাকারী ঘাতক চালক মাহমুদ হাসান এবং হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই হত্যাকাণ্ডের আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১ এবং র্যাব-৮ এর দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘাতক চালক হাসান মাহমুদ হিমেলকে বরিশাল জেলার হিজলা থানাধীন হরিনাথপুর এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে। র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক আরও বলেন, এ ধরনের বাস চালানোর জন্য চালক হিমেলের যথাযথ লাইসেন্স ছিল না। এছাড়াও গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্তও কাগজপত্র ছিল না। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
Authorized ।। sangbadporto.com