নিজস্ব প্রতিবেদন:দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ২০২৩-২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে। তারপর ২ আগস্ট সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং ছয় সহসভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিগত মেয়াদ পর আবারো এফবিসিসিআই নির্বাচনে ভোটাধিকার ফিরে পাচ্ছেন ভোটাররা। মূলত এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি ,সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মীর নাসির, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, হেলাল উদ্দিন, এফবিসিসিআই পরবর্তী সভাপতি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, বর্তমান সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সি:সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ সভাপতি মো. আমিন হেলালী,হাবিব উল্লাহ ডন,আবু মোতালেব, শফিকুল ইসলাম ভরসা,হাফেজ হারুন,আমজাদ হোসেন,রাশেদুল হোসান চৌধুরী রনি,নতুনদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, মো. নিয়াজ আলী চিশতীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সংগঠনের জেনারেল বডির সদস্যরা ভোট দিতে পারছেন। এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ এবং সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ থেকে ৫৩ এবং সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে ২৬ জন মনোনয়ন কিনেছেন।
এদিকে, একাধিক সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিগত মেয়াদে যারা ভোট বন্ধ করেছিল, জেনারেল বডি সদস্যদের মেম্বারদের টাকা বিভিন্ন সময়ে আত্মসাৎ করছিল, ডেলিগেশনে নাম দিয়ে ভিসা না হওয়ার পরও টাকা ফেরত দেয়নি তারা এখন সুর পাল্টিয়ে ভোট চাই ভোট চাই বলে চিৎকার করে গলা ফাটাচ্ছে। সাধারণ ভোটাররা একে অপরকে তাদের বিষয়ে সর্তক থাকার অনুরোধ করেছেন, তারা আবার নির্বাচিত হলে আরও বেপরোয়া ব্যবহার করবে জিবি মেম্বারদের সাথে,অনেক এসোসিয়েশনের মধ্যে ভুয়া ভোটার বানিয়ে ছিলেন তারা এখন আবার সুর পাল্টিয়ে ভোট চাই ভোট চাই গলা ফাটানো সেই ভুয়া নেতারা । তাদের চামচামির কারনে এফবিসিসিআইয়ে ঢুকতে পারেনি অনেক জিবি মেম্বারা। এই ঘটনা সমস্ত জিবি মেম্বারদের মনে আছে, কার কাছে যাবেন, কি উদ্দেশ্যে যাবেন,যার কাছে যাবেন তারে ফোনে কল দেন ইত্যাদি ইত্যাদি। ভোট হোক ভালো মানুষের পক্ষে যারা জিবি মেম্বারদেরকে হয়রানি ও হুমকি ধামকি দিবে না। তাই সুর পাল্টানো নেতাদের বয়কটেরও আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি কিংবা সামাজিক সূচকের শক্তিশালী অবস্থান, দুর্বল এক শিশুরাষ্ট্র থেকে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি, পরর্নিভরতা থেকে বেরিয়ে এসে আত্মনির্ভরতায় বলিয়ান হয়ে ওঠা বাংলাদেশের ৫০ বছরের গল্পটা সফলতার, অর্জনের। এ অর্জনের পেছনে নেপথ্য নায়ক হিসাবে কাজ করেছেন মো. জসিম উদ্দিন। তার দক্ষতা এবং পরিশ্রমের কারণেই এবার ভোটাধিকার পাচ্ছেন জেনারেল বডির সদস্যরা।
দেশে মানবসম্পদের বহুমুখী চাহিদা পূরণে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষে ‘এফবিসিসিআই টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের প্রয়োজনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষে ‘এফবিসিআই ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
‘ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় কমানোর লক্ষে এফবিসিসিআইতে ‘এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে ‘এফবিসিসিআই আইকনিক টাওয়ার’ নির্মাণ করা হবে, যাতে দেশের ইতিহাস, সমৃদ্ধি ও ভবিষ্যত অগ্রযাত্রার প্রতিফলন থাকবে।
বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে এফবিসিসিআই বৈশ্বিকভাবে বাংলাদেশকে ব্যান্ডিং করেছেন মো. জসিম উদ্দিন। তার কল্যাণেই এফবিসিসিআইকে বিশ্ব দরবারে একটি আন্তজার্তিক সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
Authorized ।। sangbadporto.com