সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,হিমালয়কন্যা নেপালে নানা ধর্ম,বর্ণ ও কৃষ্টির মানুষ বসবাস করে।একই ভাবে আমাদের বাংলাদেশেও নানা ধর্ম,বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস।বাংলাদেশ ও নেপালের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির মধ্যে বেশ মিল রয়েছে।প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস,বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বাংলাদেশ বুক ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত’চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’র সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন,ভারত,নেপাল ও ভুটান একইসূত্রে গাঁথা।ঐতিহাসিক ভাবে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।ভারত ও ভুটান যেভাবে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে,একইভাবে নেপালও সপ্তম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।নেপাল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজকের এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি,সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার অনন্য নিদর্শন।প্রতিমন্ত্রী এসময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের অভিভাবকদের শুধু চিত্রাঙ্কন নয়,সংস্কৃতির অন্যান্য শাখায়ও তাদের বাচ্চাদের অংশগ্রহণ ও চর্চার আহবান জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ বুক ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ুদ মান্নান এবং বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি লায়ন মশিউর আহমেদ।নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন,১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।এরপর থেকেই অর্থনীতি, যোগাযোগ,ব্যবসা-বাণিজ্য,শিক্ষা,সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমপ্রসারমান।ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন,বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শিল্প,সংস্কৃতি,ভাষা,খাদ্যাভাস ও জীবনধারায় সাদৃশ্য রয়েছে।রাষ্ট্রদূত বলেন,এ প্রতিযোগিতা আয়োজন বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক বহন করে।তিনি এসময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
Authorized ।। mizanur rahman