বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাকেরগঞ্জ থানা ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান যোগদানের পর মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ।থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমানের নেতৃত্বে মাদক ও জুয়া মুক্ত সুন্দর একটি উপজেলা গড়ে তুলতে টিম ওয়ার্ক করে থানা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন।বাকেরগঞ্জ থানার নবাগত ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান সোমবার (১৯ ডিসেম্বর ২০২২) বাকেরগঞ্জ থানার দায়িত্ব গ্ৰহন করেন।দায়িত্ব গ্ৰহন করার পরই অপরাধ জগতের আতংক সৃষ্টি করেছেন।তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
জাঙ্গীবাদ,সন্ত্রাস,বাল্য বিবাহ,মাদক,জুয়া,পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন অপরাধ থেকে মুক্ত করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাকেরগঞ্জে প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে সুনাম অর্জন করা শুরু হয়েছে।ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান যোগদানের পর অপরাধ দমন ও অপরাধ সংক্রান্তে রহস্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক পেইজ ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।অপরাধ দমনে পুলিশি সেবা মানুষের কল্যানে পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধি,গ্রাম পুলিশ ও বিট পুলিশিংয়ের সহযোগিতা নিয়ে সাহসিকতার সাথে বিভিন্ন অপরাধ ও সমস্যা মোকাবেলা করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে পুলিশি সেবার মান সর্বসাধারণের কাছে প্রশংসা অর্জন করেছে।তার কৌশলী দক্ষতার কারনে জনগনের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলায় পুলিশ জনগনের সেবক,সেবাই পুলিশের ধর্ম এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।থানা এলাকাকে বিভিন্ন অপরাধ মুক্ত করতে তিনি এবং তার পুলিশ প্রশাসন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ জানায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্বের তুলনায় অনেক ভাল।পুলিশের সেবা নিতে এখন আর কোন বেগ পেতে হয় না।
এস এম মাকসুদুর রহমান এর যোগাদানের পর থেকেই একেরপর এক মাদক বিরোধী সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়।থানা পুলিশের অভিযানে (২৫ ডিসেম্বর) পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বিমল চন্দ্র শীলের পুত্র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বিপুল চন্দ্র শীলকে ১০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।(৩ জানুয়ারি) কলসকাঠী ইউনিয়নের বাগদিয়া গ্ৰাম থেকে ২০০ গ্ৰাম গাঁজাসহ মাদক সম্রাজ্ঞী রাজিয়া আক্তার (৩৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।(৬ জানুয়ারি) থানা পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।আটককৃতরা ভরপাশা ইউনিয়নের শাহআলম গাজীর পুত্র,দুলাল গাজী (৩২) ও শাহজাহান হাওলাদার এর পুত্র মামুন হাওলাদার(৩০)এরপর সবচেয়ে বড় অর্জন হয়েছে(৭ জানুয়ারি)পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ী আলমগীর(৪০)কে ১২৫ পিচ ইয়াবা সহ আটক করা হয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন-সুযোগ্য পুলিশ সুপার জানাব ওয়াহিদুল ইসলাম (বিপিএম) স্যারের নির্দেশে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাকেরগঞ্জ (সার্কেল) এর পরামর্শে উপজেলা সদর পৌরসভা এলাকা সহ মোটি ১৪টি ইউনিয়নে মাদক ও জুয়া সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে।আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব জনগণের জান-মাল হেফাজত ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব।এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মাঝে গতি ফিরিয়ে আনতে তিনি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন সততা ও দক্ষতার সাথে।
Authorized ।। mizanur rahman