নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কালিয়াকৈরে পুলিশের জমি আত্মসাদ,গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরেও আসামী ধরা-ছোয়ার বাহিরে আছেন।থানা পুলিশে একাধিক বার জিডি লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রকার কাজ হয়নি।থানা পুলিশ ব্যত্ত হলে আদালতের দারস্থ হন ভুক্তভোগী পরিবার।আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পরেও আসামী গং কি জানি কি অদূষ্য কারণে রয়ে গেলো ধরা-ছোয়ার বাহিরে।লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়,গাজীপুর জেলাধীন কালিয়াকৈর থানা এরিয়ায় এক পুলিশ সদস্যসহ ও তার পরিবারের অন্যান্য ওয়ারিশদের পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমি স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র সৃজন করিয়া জোরপূর্বক দখল নিতে নানা রকম পাঁয়তারা করছে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ঝামেলা সূষ্টি করে যাচ্ছে।পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষা ও জালজালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় একাধিক জিডি-লিখিত অভিযোগ ও আদালতে দুইটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানাজায়, কালিয়াকৈরের আসারিয়াবাড়ি মৌজাস্থিত ৪৯৩নং জোতে এস এ ৯৩,১৪৫ আর এস ১৪ ও ১৫ নং খতিয়ানে এস এ ২৫৫,আর এস ৩২৪ নং গং দাগে মোট ৬ একর ৫৩ শতাংশ জমির কাতে প্রায় ২ একর ৮০শতাংশ জমি রেকর্ড মুলে প্রকৃত মালিক আব্দুল হামিদ।প্রায় ৩০ বছর পূর্বে আব্দুল হামিদ মৃত্যুবরণ করলে উক্ত জমি তার সন্তানেরা ভোগ করতে থাকেন এবং নিজেদের নামে নামজারি করে নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করে আসছেন।
এদিকে বাকি প্রায় ৩ একর ৭৩ শতাংশ জমি আব্দুল হামিদের বোন বাছাতন নেছা ও ফাতেমা বিবিসহ অন্যান্য শরিকগণ ভোগ করে আসছেন।এই জমির একাংশেই মৃত আব্দুল হামিদের পৈতৃক বাড়ি,এক সময় জৈনক তাইজদ্দিনের সাথে বিবাহ হয় আব্দুল হামিদের বোন বাছাতনের।বিয়ের পর থেকেই তাইজদ্দিন ঘর-জামাই হিসেবে ঐ বাড়িতেই বসবাস করেন।কয়েক বৎসর পর আব্দুল হামিদ,পার্শ্ববর্তী ঢোলসমদ্র এলাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং অপর বোন ফাতেমা বিয়ের পর থেকে তার স্বামীর বাড়িতেই থাকেন।
আব্দুল হামিদের পৈতৃক বাড়িতে তার ছোট ভাই সুজাত আলী ও বোন বাছাতন নেছা স্বামী সহ বসবাস করত।তার কয়েক বছর পর সুজাত আলীর বসত ঘরে রাতের অন্ধকারে বাহির থেকে কে বা কাহারা দরজার সিটকানি মেরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভিতরে আটকা পরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সুজাত আলী মৃত্যু বরন করেন।সুজাত আলীর মৃত্যুর পর থেকে উক্ত জমি চাষাবাদ করতে থাকে বাছাতনের সন্তানেরা।ঐ সময় থেকেই জমির উদপাদিত ফসলের একটি অংশ আব্দুল হামিদের সন্তানদের দিয়ে আসছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।গত কয়েক বৎসর ধরে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কিছু কাগজপত্র সৃজন করিয়া মৃত তাইজদ্দিনের ছেলেরা স্থানীয় ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আলী,হযরত আলী,ইনসান আলী, মহাসিন আলীরা মৃত্যু আমদুল হামিদের জমি নিজেদের দাবী করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করেন।
এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বিচার শালিসও হয়,মৃত্যু আব্দুল হামিদের সন্তান(১) হারুন অর রশিদ,(২)শহিদুল ইসলাম,(৩)খোরশেদ আলম,(৪)রতন আলম,(৫)পুলিশ সদস্য মুঞ্জুরুল করিম,(৬)জাকির হোসেন,(৭)হাবিবুর রহমান,(৮)মোছাঃ রাজিয়া পারভিন,(৯)মোছাঃ দেলয়ারা বেগম,(১০)মোছাঃ রওশনারা বেগমের নামে নামজারি বাতিল করার জন্য ভুয়া কাগজ পত্রের সুত্র দিয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) কালিয়াকৈর,গাজীপুর বরাবর একটি আবেদনও করেন ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আলী গংরা।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে আরও বলেন,এই জায়গা-জমি গ্রাস করতেই পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ভুমিদস্যু মোহাম্মদ আলী গংরা আগুন দিয়ে আমাদের চাচা সুজাত আলিকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরিয়া ভুমিদস্যু মোহাম্মদ আলী গংরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে।তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় একাদিক সাধারন ডায়রি ও অভিযোগ করা হয়েছে।ইতিমধ্যে ভুমিদস্যুর কবল থেকে পৈতৃক জমি রক্ষার্থে ও নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য গাজীপুর আদালতে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার,যার মামলা নং- ৪৫/২০২০ ও ৪৮৫/২০২৩।
উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে,অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীর ব্যাবহারিত মোবাইলে একধিকবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেননি।মোহাম্মদ আলী গংরা কালিয়াকৈর এলাকায় অনেক শক্তিশালী বলে আশা করা হচ্ছে।আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকার পরেও ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছে জালজালিয়াতির মাষ্টার মাইন্ড মোহাম্মদ আলী গংরা।
Authorized ।। sangbadporto.com