নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেসরকারি নিরাপত্তা খাত-সহ বিভিন্ন সেক্টরে আরো বেশি জনশক্তি নেয়ার আহবান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।উপদেষ্টার সঙ্গে আজ বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত Abdulla Ali Khaseif AlHmoudi এর সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।সাক্ষাৎকালে দুুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন,জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি,দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা,ই-ভিসা খাতে কারিগরি সহযোগিতা-সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন,গালফভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে।কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।তিনি বলেন,আমরা এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুধু অব্যাহত রাখা নয়,বরং এটিকে আরো এগিয়ে নিতে চাই।এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন,বর্তমানে সারাবিশ্বের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স প্রেরিত হয়ে থাকে।বাংলাদেশী কর্মীদের অনেক বেশি দক্ষ ও প্রফেশনাল অভিহিত করে তিনি বলেন,বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকিং,প্রকৌশল খাত সহ বিভিন্ন সেক্টরে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন,নিয়মিত নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেখানে ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগ করা হয়েছে।রাষ্ট্রদূত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসরকারি খাতে নিরাপত্তাকর্মীদের চাহিদার বিষয়টি জানালে উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে এ খাতে ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগের অনুরোধ করেন।উপদেষ্টা এ বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্য সাপেক্ষে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানান।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে ই-ভিসা চালুর ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।উপদেষ্টা এটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,এ বিষয়ে দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।বৈঠকে ঢাকাস্থ ইউএই দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যানালিস্ট আলতাফ হোসেন ও দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আমির হোসেন-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Authorized ।। mizanur rahman