নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নির্বিঘ্নে অটোরিকশা চলাচল সহ রিকশা বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং সময় বৃদ্ধির দাবিতে সড়কে আন্দোলন এবং ধাকা-১৮ আসনের এমপির অফিসের সামনে অবস্থান করেন অটোরিকশা চালকরা।রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড পাকার মাথায় অটোরিকশা চালকরা জড়ো হয়ে সড়ক এবং মহাসড়কে আন্দোলন করেন এবং ঢাকা ১৮ আসনের এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ খসরু চৌধুরীর অফিসের সামনে অবস্থান করে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য আবেদন করেন।
আবেদনের লেখা ছিল,আমাদের অধিকাংশ মালিক লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে আমরা ঋণ গুলো অদ্যাবধি পরিশোধ করিতে পারি নাই।এত চাপের পরেও আবার গত ১৮ই মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণের মেয়র নেতৃত্বে যে বৈঠক হয়েছে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ নির্দোষ দেওয়া হয়েছে এটা আমাদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা।আমরা এখন কোথায় যাব।অটোরিকশা বন্ধ হলে আমাদের মধ্যে অনেকেই জুয়া,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই এর মতন জঘন্য অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে আরো মারাত্মক ব্যাপার হল এসব লোকদের অনেকেই স্ত্রী যারা এখনো যুবতী বা সুন্দরী তাদের একটা বড় অংশ পেটের দায়ে বাচ্চাকাচ্চাদের পরিপালনের তাগিদে পতিতাবৃত্তির মত জঘন্য অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।
চালকরা বলছেন আমরা কি করে খাব আমরা কেউ গাড়ি ভাড়া নিয়ে চালাই আবার অনেকেই শেষ সর্বস্ব বিক্রি করে একটি গাড়ি কিনেছি সেটা চালিয়ে আমাদের সংসার চালাই।রিকশা বন্ধ করে রাখায় আমাদের ব্যাটারিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।গত পাঁচ দিন আগে ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে এক সেট ব্যাটারি লাগিয়েছি।গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমার ব্যাটারিগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে।
অটোরিকশা মালিক সমিতির উপদেষ্টা মনিরুল্লাহ খান বলেন,প্রধানমন্ত্রী বয়স্ক ভাতা চালু করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু করেছেন,আমরা জানতে পেরেছি বেকার ভাতা ও চালু করবেন,তবে হঠাৎ কেন অটোরিকশা বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন,রিকশা গুলো বন্ধ করে দেওয়ায় পরিবার নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়বেন বলে মনে করছি,তাদের মাথার উপর রয়েছে কিস্তির বোঝা।যদি রিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে চালকদের সময় বেঁধে দেওয়া উচিত।যাতে করে তাদের শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে অন্য কোন কাজ করতে পারে।
Authorized ।। mizanur rahman