পটুয়াখালীর গলাচিপায় চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক প্রধান আসামি আইয়ুব’কে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।র্যাব বলছে,২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনাটি ঘটে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি দল শনিবার বিকেলে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় একটি ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।আটককৃত আসামীর নাম মোঃ আইয়ুব আলী (৩০)।পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার ধরান্দী গ্রামের মৃত ইদ্রিস সরদারের পুত্র।আজ রোববার দুপুরে র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার এবং সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এম.জে. সোহেল এসব তথ্য জানান।
র্যাব বলছে,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে,ভিকটিম সোহাগ ও আসামিরা পরস্পর নিকট আত্মীয়।ভিকটিম সোহাগের সাথে আসামীদের টাকা লেনদেন নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল।ঘটনার দিন গত ২০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে আসামী আইয়ুবসহ অন্যান্য আসামীরা পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় একটি ঔষধের দোকানের সামনে অবস্থান করে।এসময় ভিকটিম উক্ত স্থানে আসা মাত্র পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামীরা তাদের সঙ্গে থাকা লাঠি-সোটা, লোহার রড দিয়ে ভিকটিম সোহাগকে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে।
ভিকটিমের ডাকচিৎকারে আসে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা ওই ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন।ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাৎক্ষনিক ভাবে ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,বরিশালে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে মৃত্যুবরন করেন।এঘটনায় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় আইয়ুব আলীকে প্রধান আসামী করে ২১ নভেম্বর তারিখে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান,গ্রেফতারকৃত আসামি আইয়ুব আলী ওই হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা থাকার সত্যতা স্বীকার করেছে।সে মামলা দায়েরের পর থেকে রাজধানীর সবুজবাগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে আসছিল বলে জানায়।তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Authorized ।। mizanur rahman