নিজস্ব প্রতিনিধি/আল-আমিন সরকারঃ
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।ঢাকার দ্বিতীয় এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত বছরের ১২ নভেম্বর।বছর ঘুরে এটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ।আগামী তিন বছরের মধ্যে এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কথা রয়েছে।তবে বৃহৎ এ প্রকল্প শেষ করতে বহু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাইপাইলের ইপিজেড থেকে যাত্রা শুরু করে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে।এই দুটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পরষ্পর সংযুক্ত হলে, সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। দ্রুতগতির উড়াল সড়কের এই পথের মোট দূরত্ব দাঁড়াবে ৪৪ কিলোমিটার।
সম্প্রতি প্রকল্প এলাকার বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,বেশ খানিকটা দৃশ্যমান হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আশুলিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি পিলার।কয়েকটি পিলারের ক্যাপ ঢালাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে। আব্দুল্লাহপুর থেকে ধউর পর্যন্ত রাস্তার পাশেও দাঁড়িয়েছে কিছু পিলার। সবমিলিয়ে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতাংশের হিসাবে পিছিয়ে থাকলেও বলা যায় প্রকল্পটি ‘মাথা তুলে’ দাঁড়াচ্ছে।
এই প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি)। প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক গু ফেং জানান, এখানে নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার বেশিরভাগ জায়গায় রয়েছে বৈদ্যুতিক তার। এগুলো বারবার অপসারণ করার কথা বলেও কোনো লাভ হয়নি। বিদ্যুৎ সুবিধা বন্ধ করে তো আর কাজ করা যাবে না। এজন্য কাজ করতে ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে তৈরি করবে আন্তঃদেশীয় সড়ক যোগাযোগের সুযোগ। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-জামালপুর, ঢাকা- উত্তরবঙ্গ ১৬টি জেলার সাথে ও ঢাকা-মাওয়া-বরিশাল মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করবে এই প্রকল্প। উড়াল সড়কটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট হারে টোল দিতে হবে প্রতিটি যানবাহনকে।
ঢাকার দ্বিতীয় (ঢাকা-আশুলিয়া) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পায় ২০১৭ সালে। ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে প্রকল্পটি। এটি শেষ করার কথা রয়েছে ২০২৬ সালের জুনে। গত বছর ১২ নভেম্বর এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এলাকা বাসি ও সাংবাদিক সোহেল খাঁন ও সাংবাদিক নুরুন্নবী, এই প্রতিবেদককে জানান, যখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহনগুলো ঢাকাকে ভার্টিকালি বাইপাস করবে, তখন নিচের রাস্তাগুলো অনেকটা চাপমুক্ত হবে। ফলে গণপরিবহনের জন্য প্রসারিত এবং যানজটমুক্ত একটি সড়ক আমরা পাব। তবে এটার জন্য আমাদের ২০২৬-২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
Authorized ।। mizanur rahman