সোহেল রানা:বহিষ্কারের প্রতিবাদে বাকেরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা ও রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান শামীম।বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় উপজেলার শ্যামপুর বাজারে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,পারিবারিকভাবেই তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যে কারনে ইউনিয়ন আওয়ামীগের কোন কোন নেতা তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ১৪ আগস্ট রাতে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শোক দিবসের অনুষ্ঠান পালনের পূর্বে বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয় আলোচনা সভায় উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যস্ত সময পার করেন। ব্যস্ততার মাঝে ওই রাতে যে কেউ তার মোবাইল ফোন নিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুকে নিয়ে ইন্নালিল্লাহ স্ট্যাটাস দিয়েছে। যখনি তিনি ওই পোস্ট দেখতে পেয়েছেন সাথে সাথে তার আইডি থেকে ডিলেট করেছেন। ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোখলেচুর রহমান তাকে কারন দর্শানোর কোন নোটিশ না দিয়ে বহিস্কার করেন। অথচ তার সেই পোস্টে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও পৌর যুবলীগ এবং উপজেলা কৃষক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত অনেকেই তাতে ইন্নালিল্লাহ লিখে কমেন্টস করেছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন সাইদীর মৃত্যুতে তার আইডিতে ষড়যন্ত্রমূলক পোস্টের জন্য যদি তিনি বহিস্কার হন, যারা তার পোস্টে ইন্নালিল্লাহ লিখে কমেন্টস করলো তাদেরকে কেন বহিস্কার করা হলনা।
মেহেদী হাসান শামীম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, উপজেলা যুবলীগের ডেডস্পেয়ার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোখলেচুর রহমান বিগত ১৩ বছর বিএনপি ও জামায়াতের লোকদেরকে পুনর্বাসিত করেছেন। তিনি নিজেই ১৯৯৯ সালে পৌরসভার হেলিপ্যাড মাঠে যুদ্ধাপরাধের অপরাধে আজীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মরহুম দেলোয়ার হোসেন সাইদীর মাহফিল শেষে তাকে তার নিজ বাড়িতে দুপুরে একসাথে দাওয়াত খেয়েছেন। ষড়যন্ত্রমূলক স্ট্যাটাসের কারনে যদি তিনি বহিস্কৃত হন, তবে সাইদীকে বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ানোর অপরাধে যুবলীগ সাধারণ মোখলেচুর রহমানকেও দল থেকে বহিস্কার করা উচিত।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তার অজান্তে যদি সাঈদীর মৃত্যুতে ইন্নালিল্লাহ স্টাটাসের জন্য তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বহিস্কার করা হয়। তাহলে জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে তার প্রশ্ন থাকবে, বাকেরগঞ্জের চিহ্নিত রাজাকার পরিবারের সদস্যরা কিভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কমিটির পদপদবীতে বহাল থাকেন। তিনি তার অজান্তে দেয়া পোস্টের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন তিনি ক্ষমা প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার অনুরোধ যাহাতে তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে তার প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়।