সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা।পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার পর এমন ঘটনা আর ঘটেনি।১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট এ দু’টি নগরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের ফলে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। তাছাড়া কয়েক লক্ষ মানুষ চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করে এবং দীর্ঘকাল ধরে মারাত্মক ক্ষতিকর পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তার ফলে যে বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো,তা আজও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।এ ঘটনার মূল হোতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।একইভাবে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হিংস্র,নৃশংস ও বর্বর আচরণে এবং বুলেটের আঘাতে ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ঘটে।এর পেছনেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।কেননা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের ইতিহাস সবারই জানা।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে’হিরোশিমা দিবস ২০২৩’ পালন উপলক্ষ্যে নাট্যসংগঠন’স্বপ্নদল’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।প্রধান অতিথি বলেন,নাট্যসংগঠন ‘স্বপ্নদল’কে ধন্যবাদ জানাই প্রতি বছর হিরোশিমা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে শান্তির পক্ষে কাজ করার জন্য।’আর নয় হিরোশিমা,আর নয় নাগাসাকি,আর নয় যুদ্ধ’শিরোনামে সংগঠনটি ২২ বছর ধরে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন,হিরোশিমা দিবস আমাদের হত্যা ও ধ্বংসের বিপরীতে শান্তিকে স্বাগত জানায়।তিনি বলেন,যুদ্ধ,দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট নাট্যজন লাকী ইনাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মাচিদা তাতসুয়া ও জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ।অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ‘স্বপ্নদল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও দলীয় প্রধান জাহিদ রিপন।পরে স্বপ্নদলের যুদ্ধ বিরোধী গবেষণার প্রয়োজনা’ত্রিংশ শতাব্দী’মঞ্চস্থ হয়।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রযোজক-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এর পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’-এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
Authorized ।। mizanur rahman