মিজানুর রহমান:
গাজীপুর জেলা কাপাসিয়া থানাধীন পাচুয়া এলাকার অসহায় ভিক্ষুক রমিজা খাতুনের দু:খের কোন শেষ নেই।মানুষের ধারে ধারে ভিক্ষা করে খাওয়া রমিজা খাতুনের বসত বাড়ী একই এলাকার ভূমিদস্যুদের কবলে পরেছে।খোজ নিয়ে জানা যায়,একই এলাকার (১) মানিক মিয়া(৭০), (২) মনি মিয়া (৬৫),(৩) মতিউর রহমান (৭৫),সর্ব পিতা: এংরাজ সাং-পাচুয়া,থানা: কাপাসিয়া,জেলা:গাজীপুর।রমিজা খাতুন অসহায় ভিক্ষুক হওয়ার কারণে ভূমিদস্যুরা তাহার বসত বাড়ি দখল ও গাছপালা কেটে বিক্রি করে দিয়েছে।রমিজা খাতুন ঢাকা শহরে ভিক্ষা করে নিজের জীবন চালায়।সেই সুযোগে ভূমিদস্যুরা গাছকাটা ও জমি দখলের মতো জঘন্য কাজ গুলো করছে।
অসহায় রমিজা খাতুনের ছেলে ও মেয়ে ভূমিদস্যুদের কিছু বলতে গেলে মামলা হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।রমিজা খাতুন ও তার ছেলে মেয়ে একাদিক বার থানায় অভিযোগ করেও কোন সু-ফল পায়নি।ভূমিদস্যুদের কাছে কোন ভাবেই পেরে উঠতে পারছে না।গত ২৩-০১-২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ১০ঃ৩০ ঘটিকায় সময় ভূমিদস্যুরা রমিজা খাতুনের জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে রমিজা খাতুনের জমিতে থাকা গাছ গুলো বেপারিদের কাছে বিক্রি করে দেয়।বেপারিকে গাছ কাটতে নিষেধ করলে ভূমিদস্যুগন অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে ও পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলবে ও ঘুম করে ফেলবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকী ধামকী দেয়।
অসহায় রমিজা খাতুনের পাশে দাড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন(আসক) ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা।ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির পরিচালক এ কে সেলিম ভূইয়া বলেন,ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করতে আমি ও আমার কমিটির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছি।আমরা চেষ্টা করছি রমিজা খাতুনের ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করতে।ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সহকারী-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন,ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করতে আমরা আছি রমিজা খাতুনের পাশে।আমি ও আমার টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করছি,খুব শীঘ্রই আমাদের মানবাধিকারের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
অসহায় রমিজা খাতুনের কান্না ছাড়া আর কোন সুযোগ না থাকায় কান্না করেই জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন।রমিজা খাতুন বলেন,বিবাদীগন আমার জমির গাছ যেন না কাটতে পারে এবং বিবাদীগনের দ্বারা আমাদের জানমালের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিসহ শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন হইতে পারে বলিয়া আশংকা করিতেছি।রমিজা খাতুন তাহার নিকটতম আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেও কোন সু-ফল পায়নি।শেষ পর্যন্ত গাজীপুর জেলা আদালতের দারস্ত হয়েছেন।
Authorized ।। mizanur rahman