মোঃ মিজানুর রহমানঃ
চট্টগ্রাম–৮(বোয়ালখালী,চান্দগাঁও,পাঁচলাইশ,বায়েজিদ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যাওয়াতে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন।দিন তারিখ এখনো নির্দিষ্ট না হলেও নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের আগ্রহের শেষ নেই।তবে এই উপনির্বাচনে বড় দল বিএনপি থেকে কোন প্রার্থী দিবেন না এমনটা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেনে।তিনি আরও বলেন,যে সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।জনগণের কাঙ্ক্ষিত একটি সুস্থ সুন্দর নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারেনি।পরপর দুইবার ভোট ডাকাতি করেছে।একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না।
এছাড়া অন্য কোন দল থেকেও প্রার্থী হওয়া না হওয়ার কোন খবর এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।এতে আওয়ামী লীগের যে প্রার্থী হবেন না কেন,তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ছিল।কিন্তু এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিত করার জন্য জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন চট্টগ্রামে যে কয়েকজন বিত্তবান ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থানকারী সোলায়মান আলম শেঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সভাপতি জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর।তিনি প্রার্থী হওয়া মানে বড় দলের প্রার্থীর জয়লাভ করা সম্ভাবনা ৫০%।সোলায়মান আলম শেঠ একজন রাজনীতিবিদ ও শুধু ব্যবসায়ীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না।তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অসহায় মানুষের বাড়ি ঘর তৈরি গরিব মেধাবী ও অন্যান্যদের চাকরির ব্যবস্থা ও অসহায় মেয়েদের বিবাহ দেওয়া থেকে শুরু করে প্রত্যেক স্তরে সহযোগিতার হাত বাড়ান।
করোনা কালীন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন তা বলার মত না।এক কথায় মানবিক কাজ করে চট্টগ্রামে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা ব্যক্তির নাম সোলায়মান আলম শেঠ।সুতরাং তিনি প্রার্থী হওয়া মানেই সাধারণ ও অসহায় মানুষ তাকে ভোট দেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বেন।কোন অবস্থাতেই তাকে আটকানো সম্ভব নয় বড় দল প্রার্থীর।
সোলায়মান আলম শেঠ বলেন,অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ৭০% ভোট আমি পাব ইনশা আল্লাহ।আপনি কেন প্রার্থী হচ্ছেন জবাবে বলেন,আমরা বংশপরম্পরায় মানুষের সেবা করা বংশগত ঐতিহ্য ও অভ্যাস।মানুষের সেবা না করে আমরা থাকতে পারি না।আমার পূর্বপুরুষ মানুষের সেবা করেছে আমি এবং আমরা করে যাচ্ছি।সংসদ সদস্য হলে মানুষের সেবা করা আরো একটু সহজ হবে এবং সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যেতে পারবো।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সম্ভাবনা প্রার্থী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম নৌকার টিকেট পাবে এমনটা বিশ্বাস স্থানীয়দের।কারণ তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য পূর্বে চেষ্টা করেছেন।
বিভিন্ন সূত্র মাধ্যমে নিশ্চিত করেন,এবার আওয়ামীলীগ তাকে নিরাশ করবেন না।চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুইবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।সে সুবাদে তিনিই আওয়ামীলীগ থেকে নৌকার টিকেট পাবেন।আবদুচ সালাম বলেন,সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আমার দল আওয়ামীলীগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।জনগণ আমাকে শতভাগ সাড়া দিবে ইনশা আল্লাহ।এই দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে খুবই কঠিন হবে বিজয় বের করা,যে কেউ বিজয় বের করে নিতে পারে।
Authorized ।। mizanur rahman