চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সন্তানসহ বিচ্ছেদের ৯ মাস পর আদালতে পুনরায় বিয়ে,সাড়ে চার বছরের সংসার জীবনে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান।কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন স্বামী।কিন্তু বাকি থাকা দেনমোহর পরিশোধ হয়নি।এরপর আদালতের শরণাপন্ন হয় ভুক্তভোগী মেয়েটি।মামলা করেন স্বামীর বিরুদ্ধে।
এরপর দীর্ঘ এক বছর পর আদালত ৩ বছর ৬ মাসের ছেলে সন্তানের কথা ভেবে আবারও তাদের সন্তানের দিকে দেখে বিচারক থমকে যায়,ভূক্তভূগী পরিবারকে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বিচারক উদ্বুদ্ধ করেন,অবশেষে ফের বিয়ের সিদ্ধান্তে উপনীত হয় উভয় পরিবার।পরে আদালতের মাধ্যমে পূর্বের দেনমোহর বহাল রেখে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয় বিচারকের নিজস্ব কার্যালয়ে।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মো. হুমায়ন কবীর পুনরায় বিয়ের কার্যাদি সম্পন্ন করেন।পরে আদালত কক্ষে দুই পরিবারের লোকজন ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়৷দুই পরিবার,কাজী ও আইনজীবী এডভোকেট রাসেল আহমেদ রনির উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়৷জানা যায়,কয়েক বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে মো. রাকিব আলী ও কর্ণখালী মির্জাপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে পারভীন খাতুনের।পরে তাদের বনিবনা না হওয়ায় প্রায় ৯ মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।পরে দেনমোহরের অর্থের জন্য আদালতে মামলা করেন পারভীন খাতুন।
দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি আদালতে চলমান ছিল।আজকে (বৃহস্পতিবার) এনিয়ে বিজ্ঞ আদালত সাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। পরে দুই পরিবার ও স্বামী-স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে পুনরায় বিয়ের সিদ্ধান্তে উপনীত হয় উভয় পরিবার এ সিদ্ধান্তকে আদালত স্বাগত জানায়।শিশুটির ভবিষ্যৎ বিবেচনায় নিয়ে ব্যতিক্রমী এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে উপস্থিত সকলেই খুশি হন।আদালতের এমন দৃষ্টান্তের ফলে শিশুটি তার পিতৃস্নেহ ফিরে পাবে।পুনরায় বিয়েতেও আগের দেনমোহর ১ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা-ই রাখা হয়েছে।
ছেলে ও সংসারের মঙ্গল কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়ে রাকিব আলী বলেন,যা হবার হয়ে গেছে।পূর্বের সবকিছু ভুলে আবারও আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই।ডিভোর্স হয়ে গেলেও শুধুমাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সী আমার ছেলের দিকে তাকিয়ে ও বিচারকের গভীর পরামর্শে আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম৷আদালতের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকব, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ’র সুযোগ করে দেয়ায়।আদালতের এই সিদ্ধান্ত দুই পরিবারের সকলেই খুশি আমরা স্বামী স্ত্রী সন্তান সহ।
Authorized ।। mizanur rahman