আল-আমিন রহমান আপনঃ
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ খসখসিয়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা থেকে শিক্ষক হিসাবে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন সহকারী শিক্ষক পরিমল চন্দ্র দেবনাথ।১৯৮৮ সালে পরিমল চন্দ্র দেবনাথ খসখসিয়ায় গড়ে ওঠা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করে ছিলেন।তখন স্কুলটি ছিলো টিনের ঘড়,আজ বিল্ডিং এ রূপান্তরিত হয়েছে।সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করেনা।দেখতে দেখতে সময় পেরিয়ে বিদায় ঘন্টা চলে এসেছেন।বিদায় দিতে নাহি চায় মন,তবুও সময়ের কারণে বিদায় দিতে হয়।এটাই প্রকৃতির নিয়ম,তাই তো প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায়ের ঘন্টা চলে এসেছে।অবসরে চলে যেতে হয়েছে সকলের প্রিয় শিক্ষক পরিমল চন্দ্র দেবনাথ স্যার কে।প্রিয় শিক্ষকের বিদায় জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়েছে প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে।
প্রিয় শিক্ষকের বিদায় জানানো হয় (০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ বিদায়ী সংবর্ধনায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাবুল স্যার (হিরণপুর উচ্চ বিদ্যালয়)এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এটি ইউ মো: শাহিন মিয়া,অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিসেস শামসুন্নাহার।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: জহিরুল ইসলাম খান,এডভোকেট শেখ মো: মোশারফ হোসেন,১০ নং নারান্দিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারী,সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মো: খোকন মিয়া,সাবেক শিক্ষক আব্দুল আজিজ তালুকদার,৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মোশারফ হোসেন সহ অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী সহপাঠীর বিদায়ে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিসেস শামছুন্নাহার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,এক সাথে অনেক দিন স্কুল পরিচালনা করেছি,আজ তার বিদায়ে অত্র স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একজন বন্ধুপ্রাণ গার্ডিয়ান হারালো,আর আমরা শিক্ষক যারা তারা হারাচ্ছি একজন আদর্শ সহপাঠীকে।এডভোকেট মোশাররফ হোসেন বলেন,পরিমল চন্দ্র দেবনাথ স্যারের তুলনা শুধু তিনি নিজেই,তার সাথে কোন তুলনা হয় না।স্কুল প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে প্রায় তিন যুগের মতো সময়ে নির্লোভ ও নিরলসভাবে স্কুল পরিচালনাসহ নানা অবদানের স্বাক্ষর রাখায় অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী শিক্ষক পরিমল চন্দ্র দেবনাথকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রধান করা হয়।
Authorized ।। mizanur rahman