সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,সাংস্কৃতিক আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করে এবং এর মাধ্যমে স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে।ষাটের দশকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হওয়া ছায়ানট,উদীচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রই ছিলো তখন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।সেসময় সংস্কৃতিকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে ছিলো।প্রতিমন্ত্রী গত বিকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন ধারাবাহিক স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন,১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,১৯৫৮ এর সামরিক শাসন জারি, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন,১৯৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন,১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান,১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম লাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসে কোথায় রয়েছে জিয়াউর রহমানের নাম প্রশ্ন রেখে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন,পাঠক ও ঘোষক কোনোদিন এক হতে পারে না।জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে ছিলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা,সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে,বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান,গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবুবকর সিদ্দিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর।
সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর বলেন,বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চা রাজনৈতিক অধিকার সচেতন করে।বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ছিলেন সংস্কৃতিকর্মীরা।তিনি বলেন,সুকুমারবৃত্তির বিকাশ,সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বিকাশে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশ অত্যাবশ্যক।কেননা,সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মনের অন্ধকার,গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূর করতে সহায়তা করে।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাসনা জাহান খানম।
Authorized ।। mizanur rahman