সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,ইতিহাস বড়ই নির্মম।মিথ্যা দিয়ে ইতিহাস রচনা করা যায় না এবং তা কখনো স্থায়ীও হয় না।জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন পাঠক।পাঠক কখনো স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে না।তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে ছিলেন।প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরস্থ রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি মিলনায়তনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ,বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।অর্থনীতির এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।কৃষি,ব্যবসা-বাণিজ্য,শিক্ষা,স্বাস্থ্য,সংস্কৃতি সহ সকল সেক্টরে উন্নয়নের ধারা বইছে।উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে,সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে এবং অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনাই।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এমনভাবে নির্মাণ করা উচিত যাতে এটি দেখে মনে হয় দ্বিতীয় শান্তিনিকেতন। পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে হবে যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রকৃতির মাঝে আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা লাভ করতে পারে। তিনি এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আজম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা।শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম।স্বাগত বক্তৃতা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা,সিরাজগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়,শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান,বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. জান্নাত আরা হেনরী প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী পরে পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর মুক্তমঞ্চে সাঁথিয়া থিয়েটারের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী (২৯ নভেম্বর থেকে ০১ ডিসেম্বর) লোকনাট্য উৎসব ২০২২-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি।উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।
Authorized ।। mizanur rahman