সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,জেলা পর্যায়ে সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ৬৪ জেলায় সাহিত্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এর মধ্যে চলতি নভেম্বর মাসে ৩০টি জেলায় সাহিত্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি ৩৪টি জেলায় সাহিত্যমেলা আয়োজন সম্পন্ন হবে।জেলা সাহিত্যমেলা আয়োজনের ধারাবাহিকতায় আগামী বছরের প্রথমদিকে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকায় জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে।প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়,বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে ও জেলা প্রশাসন,কিশোরগঞ্জ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী (২৩-২৪ নভেম্বর)’জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২’এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন,জাতীয় চার নেতার অন্যতম জনপ্রিয়,সজ্জন ও নিরংহকার রাজনীতিবিদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের জন্মভূমি কিশোরগঞ্জ জেলা।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর অবর্তমানে বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় তিনি মুক্তিযুক্তকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।আমৃত্যু তিনি জাতির পিতার অনুগত ও বিশ্বাসভাজন ছিলেন।নির্লোভ ও সাদাসিধে জীবনযাপনে অভ্যস্ত এ মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি আস্থা ও অঙ্গীকার তাঁর শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রক্ষা করেছিলেন।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে প্রাগ্রসর জেলা কিশোরগঞ্জ।এ জেলার কবি-সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার সাহিত্যধারা বিকাশে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো-দ্বিজ বংশীদাস,চন্দ্রাবতী,মাধবাচার্য, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী,বিপিন বিহারী বিশ্বাস,কেদারনাথ মজুমদার,নীহাররঞ্জন রায়,সুকুমার রায়,নীরদ সি.চৌধুরী,রাহাত খান,আবিদ আজাদ, উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী প্রমুখ।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি,বাংলা একাডেমির সচিব (যুগ্মসচিব) এ. এইচ. এম. লোকমান,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার),কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম. এ আফজল।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ।
উল্লেখ্য,তৃণমূল পর্যায়ে কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম জাতীয় পর্যায়ে জনসম্মুখে তুলে ধরার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ৬৪ জেলায় এ সাহিত্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।