সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাঙালি সংস্কৃতি বেঁচে আছে।তিনি শুধু মূলধারার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখেননি,দেশের ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় ও বর্ণিল সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছেন।এরই অংশ হিসেবে আজ মণিপুরী জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণের নিমিত্ত অসাধারণ শৈল্পিক স্থাপত্য নকশায় নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ নান্দনিক স্থাপনা নির্মিত হয়েছে।প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রশিক্ষণ সেন্টার,প্রশাসনিক ভবন,গেস্ট হাউস ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য অসীম কুমার উকিল এমপি।প্রধান অতিথি বলেন,অসম্ভবকে সম্ভব করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার।কল্পনাও হার মানে যেখানে সেখানে তিনি সফল হন।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন,যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ,পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি বলেন,রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে,তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে,ভূমি পতিত রাখা যাবে না।তিনি বলেন, মণিপুরী সম্প্রদায়সহ এ অঞ্চলের সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে একটি দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে।এর পেছনে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও স্থপতিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।বাংলাদেশের পুনর্গঠনে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর বলেন,সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য একটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।মণিপুরী নৃত্য,মণিপুরী সংস্কৃতি বাংলাদেশের সেই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একটি অংশ।বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি সংরক্ষণে ২০১০ সালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন প্রণয়ন করে।মণিপুরী ললিতকলা একাডেমিই প্রথম যার মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে।কোভিডের কারণে একটু দেরিতে হলেও আমরা এর নির্মাণকাজ শেষ করতে পেরেছি।সেজন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।মোঃ আবুল মনসুর বলেন,মণিপুরী নৃত্যকে ইউনেস্কো’র বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।আশা করি,এটি দ্রুত বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন’মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রশিক্ষণ সেন্টার,প্রশাসনিক ভবন,গেস্ট হাউস ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: শামীম খান,মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান,মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়,কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান,মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ ও বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের সহ-সভাপতি জিডিশন প্রধান সুছিয়ান।ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির উপ-পরিচালক সিফাত উদ্দিন।পরে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
Authorized ।। mizanur rahman