সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মতো হৃদয় বিদারক ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।চিলিতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে হত্যাসহ পৃথিবীতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড আরো ঘটেছে।কিন্তু শিশু ও নারীসহ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে একসঙ্গে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের নজির বিশ্ব ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না।প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে’১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’আয়োজিত”নজরুল ও বঙ্গবন্ধু:উক্তি ও উপলব্ধির অভিব্যক্তি” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গণহত্যা জাদুঘর এর ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড.মুনতাসীর মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ১৯৭১:গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এর ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের।প্রধান অতিথি বলেন,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান ও কবিতা যেমন মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তেমনি সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত করে নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।বঙ্গবন্ধু ও নজরুল দু’জনের মধ্যে এক ও অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা ছিল তা হচ্ছে স্বাধীনতা ও মুক্তি।কে এম খালিদ বলেন,বঙ্গবন্ধু নজরুলকে খুব ভালোবাসতেন ও অনুসরণ করতেন।সেজন্য দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে কোলকাতা হতে ঢাকায় এনে নজরুলকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি প্রদান করেন।
আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার শপথ নেয়ার মাস উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বরগুনা ও ময়মনসিংহ বাদে দেশের আর কোথাও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ মিছিল হয়নি-যা ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক।সেজন্য শুধু মুখে ও বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা না বলে সেটিকে হৃদয়ে ধারণ করে বাস্তব জীবনে অনুসরণ করার জন্য প্রতিমন্ত্রী সকলকে আহবান জানান।প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দেশ-বিদেশের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত’৬ষ্ঠ ঢাকা ডকল্যাব-২০২২’শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
Authorized ।। mizanur rahman