বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃবরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়নের চরলক্ষী বর্ধন গ্রামে আপন নানা দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাথি (১৪) নামের( সাথী ছদ্মনাম) এক কিশোরী। সে স্থানীয় ডি জি এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী তার বাড়ি পাশবর্তী ফরিদপুর ইউনিয়নের মধ্যে ভাত শালা গ্রামের জসিম বয়াতির জেষ্ঠ কন্যা। গত এক বছর ধরে সে এই নির্যাতনের শিকার হলেও সে পারিবারিকভাবে কোন প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অবশেষে সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি আর গোপনা রাখতে না-পাড়ায় তার নানা হানিফ হাওলাদার বাউফল উপজেলার কালিশুরি বাজারে ফেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন সাথী তেইশ সপ্তাহ পাঁচদিনের অন্তঃসত্ত্বা। ফেয়ার মেডিকেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন প্রতিবেদককে জানান সাথীর নানা হানিফ হাওলাদার এর অনুরোধে সাথীর পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য আমি ১৫ হাজার টাকা চুক্তি নিয়েছিলাম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন বলেন আমি আমাদের বাউফল পটুয়াখালীর কোন ডাক্তারকে এই কাজে রাজি করাতে পারিনি। পরবর্তীতে আমার পরিচিত বরিশালে নদী নামের একজন নার্সের সাথে চুক্তি করে তাকে ৭০০০ টাকা বিকাশ করেছি আর বাকি ৮০০০টাকা আমার কাছে আছে। তারা আসলে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দেব।
মধ্য ভাত শালা গ্রামে সাথীদের বাড়িতে গেলে সাথীর মা সোনিয়া বেগম স্থানীয় ডিশ ব্যবসায়ী লিটন সাথীর সাথে কথা বলে জানা যায় দুর্গাপাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার গত শুক্রবার ৩/৬/২০২২ ইং তারিখ রাতে তার গোবিন্দপুর বাসায় এই বিষয়ে সালিশ বৈঠক বসে। চেয়ারম্যান নানা হানিফ হাওলাদার কে ৫০০০০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং এই টাকা পনের দিনের মধ্যে সাথীর পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে।
আপন নানার সাথে সম্পর্ক জড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সাথী বলেন আমার নানাবাড়ি পাশে ডি জি এল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সেখানে আমি লেখাপড়া করি নানার বাড়িতে ও নিজ বাড়িতে থেকেই পড়ালেখা চালিয়ে যেতাম নানা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কাছে আসতো গায়ে হাত দিতে এবং সে আমাদের বাড়িতে এসেও এই খারাপ কাজগুলো করত। সাথীর মা সোনিয়া বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন একদিকে বাবা অন্যদিকে মেয়ে আমার কি করা উচিত বলেন, চরলক্ষীবর্ধন গ্রামেহানিফ হাওলাদারের বাড়িতে গেলে সাথীর বয়সী সাথীর খালা ও প্রতিবেশী মহিলাদের ছাড়া আর কাউকে ঘরে পাওয়া যায়নি।
দুর্গাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদারের কাছে সালিশ বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, তারা আমার কাছে আসছিল কেন আসছিল কি জানেন আপনি তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বাচ্চা নষ্ট হওয়া সম্পর্কে কি জানেন, তিনি বলেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। আমি তার নানীর সাথে কথা বলেছি সে বলেছে কবিরাজি ওষুধ সেবনের মধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করা হয়েছে। একদিকে মেয়েটি শিশু, অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা, শিশুর পেটে শিশু আবার হত্যা বাকিতে ৫০০০০ টাকা সালিশ বিচার করলেন। তিনি কোনো সু উত্তর না দিতে পারেনি।
স্থানীয়রা বলেন এমন বিকৃত আচরণ আমাদের ব্যথিত এবং বিস্মিত করেছে। বর্তমানে সাথি ও সাথির নানার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই নবজাতক শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আমরা বিষয়টি নিয়ে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি তার শাস্তি দাবি করছি।
Authorized ।। sangbadporto.com