সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, জাদুঘরকে বলা হয় গণবিশ্ববিদ্যালয়।দেশি-বিদেশি যেকোন দর্শক জাদুঘরে এসে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন।জাদুকরকে আরো বলা হয় সমাজের দর্পণ।একটি দেশের শিক্ষা,সংস্কৃতি,ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগ্রহ-ভাণ্ডার।জাদুঘর আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয় বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম জাদুঘরে এসে জানতে পারে তার অতীত ইতিহাস,পূর্বপুরুষদের কীর্তিগাঁথা।সম্ভবত এসব কারণেই হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক এক করে গড়ে উঠেছে জাদুঘর।প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন,র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দিবসটি আয়োজক আইকমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের মনে রাখতে হবে।সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০টি জাদুঘর রয়েছে।এসব জাদুঘরকে যুগোপযোগী ও আধুনিকীকরণ সময়ের দাবি।একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বের জাদুঘরগুলোর সঙ্গে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর অধ্যাদেশ-১৯৮৩ রহিত করে যুগোপযোগী জাদুঘর আইন প্রণয়স করা হয়েছে।কে এম খালিদ বলেন,৩০ মার্চ ২০২২ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল-২০২২’পাস হয়েছে যা সম্প্রতি গেজেটভুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি সহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবার জাতীয় জাদুঘর দিবস-২০২২ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “The power of Museums” অর্থাৎ বাংলায় জাদুঘরের ক্ষমতা।দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যালিটি জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে পুনরায় জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।এর আগে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।পরে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অনিমা রায় ও প্রিয়াংকা গোপ।
Authorized ।। mizanur rahman