23 December- 2024 ।। ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


চাঁপাইনবাবগঞ্জে সার ডিলারদের অনিয়মে জিম্মি কৃষক ও চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ডিলারের কাছ থেকে সার কেনার নিয়ম থাকালেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।অনিয়ম করে তৃতীয় পক্ষের নিকট সার বিক্রি করছেন ডিলার।খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সার কিনতে গিয়ে কৃষককে বস্তাপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা বা তারও বেশি গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।নির্ধারিত ইউনিয়নে নিজস্ব গুদামে রেখে সার বিক্রি করার কথা ডিলারদের।কিন্তু চাপাইনবাবগঞ্জ সদরের ছয়টি ইউনিয়নের ডিলাররা সার মজুত করছেন পৌর শহরের।তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সে সার বিক্রি করা হয় গ্রামের সাধারণ কৃষক চাষীদের কাছে।প্রায় এক যুগ ধরে এমন অবস্থা চলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায় সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের।খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সার কিনতে গিয়ে কৃষককে বস্তাপ্রতি প্রায় ২০০-২৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। বিষয়টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানলেও এখনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে নাই সিন্ডিকেটের কারণে।প্রথম আলো পত্রিকায় প্রায় বছর খানেক পূর্বে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করা হয়।খবরের সূত্র ধরে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে কিছুদিন পূর্বে পদ্মার এপারে একটি ওয়ার্ড থাকায়,সেখানে নাম মাত্র একটি সার মজুদাগার করেন ডিলার তাতেও সুফল মিলছেনা চাষীদের।

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণসংক্রান্ত ২০০৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী,ইউনিয়নের জন্য নির্ধারিত সার ডিলার ওই ইউনিয়নে নিজস্ব গুদাম তৈরি করে সেখানে সার মজুত করবেন এবং সরকারনির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করবেন বলে উল্লেখ করা হয়।কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলাররা সার বিক্রি করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় কিংবা ২য় পক্ষের কাছে।ফলে এ এলাকায় ডিলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জেলা অভিযোগ তুলেছেন পৌর এলাকার জন্য নির্ধারিত ডিলার কামরুল আরেফিন।গত ১৫ এপ্রিল ২০২১খ্রি. বিষয়টি নিয়ে তিনি সদর উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।তাতেও কোনও সমাধান মিলছেনা।অভিযুক্ত ডিলার নারায়ণপুরের ইসলাম অ্যান্ড ব্রাদার্স অভিযুক্ত ডিলারকে ২১ এপ্রিল ২০২১খ্রি.সতর্ক করা হয় এবং কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না,সাত দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কানিজ তাসনোভা এ বিষয়ে বলেন,কেউ সন্তোষজনক জবাব দেননি এখন অবদি।ভাড়া করা ছোট গুদামে কেউ কেউ সার নিয়ে গেলেও তা আংশিক বলে প্রমান মিলেছে।

তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বছরের পর বছর পেরিয়ে যুগ পূর্তী হয়ে গেলেও,এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অজানা কোন এক কারনে।গ্রামীণ পর্যায়ে ও পদ্মা ওপার জনগোষ্ঠীর নিকট সারের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউনিয়নের কৃষক সেরাজুল ইসলাম (৫৫)বলেন ইউরিয়া সরকারনির্ধারিত দাম প্রতি বস্তা ৮০০ টাকা।কিন্তু তাঁকে ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকায় সার কিনতে হচ্ছে।ন্যায্যমূল্যে সার কিনতে না পারায় তাঁর চার হাজার টাকার বেশি অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।সরেজমিনে এ বিষয়ে জানতে পদ্মার ওপার নারায়ণপুর ইউপি,এলাকা পরিদর্শনে গেলে একাধিক কৃষক নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সারের দাম বেশি রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এছাড়াও নারায়ণপুর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ একাধিক জনগোষ্ঠী ৫০০শতাধিক বা তারও অধিক জনগণ ইতোমধ্যে সার ডিলারের ডিলারশীপ বাতিলের দাবীতে সাক্ষর প্রদান করেন,সাক্ষরিত সংযুক্ত দুর্নিতীর প্রমান সংম্বলিত প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রমাণাদি এবং অভিযোগ লিখিত আকারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক,জেলা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।একযূগেরও বেশি সময়কাল যাবৎ সারের মূল্য বার্তি আদায়ের ভর্তুকি ক্ষতিপূরণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানায় কৃষকরা।এ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর অভিযোগপত্র প্রদান করা হয়।তবে এ বিষয়ে এখনও ফলপ্রসূ কোনও ব্যাবস্থা গ্রহণের আলামত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ডিলার মেসার্স ইসলাম অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম বলেন,পদ্মা নদীর ওপারে সার নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।এপারে (একটি ওয়ার্ড আছে) নারায়ণপুর ইউপির জনতার হাটে তাদের ভাড়া করা গুদাম আছে।কৃষকেরা এ পাড়ে এসে সার নিয়ে যেতে পারেন।এ বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে পাওয়া যায় নি সার ডিলার কর্তৃপক্ষ তরিকুল ইসলাম কে।কিন্তু কৃষকরা জানায় এপারে একটি ওয়ার্ড রয়েছে বটে তবে এ ওয়ার্ডে তেমন কোনও আবাদি জমি নেই,বিধায় এপার থেকে সার সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে কৃষককে গুনতে হয় ঘাঁটসহ রাস্তা খরচ ১৫০-২০০টাকা প্রতি বস্তা,তাই কৃষকদের দাবী পদ্মার ওপারে অধিকাংশ ওয়ার্ড এবং আবাদি জমির ফসল উৎপাদনে,যে ডিলার ওপারে সার মজুদ করতে আগ্রহী তাকে সারের ডিলারশীপ প্রদান করলে কৃষক সমাজের সকলে উপকৃত হবেন।এছারাও ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স এর মানি রশীদেও কারশাজি করার অভিযোগ রয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলামও বলেন,অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে ২০০৯ সাল থেকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ব্যবসা করে আসছেন।ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুঠো ফোনে ২৪এপ্রিল ২০২২খ্রি.এ বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

Authorized ।।
বিজ্ঞাপন


More News Of This Category


April 2022
F S S M T W T
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  


সম্পাদকঃ মোহাম্মদ হৃদয় খান
নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ মিজানুর রহমান.
সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ সোহেল
অফিস ঠিকানাঃ
সেক্টর নং-১০,রোড নং-২৩,বাসা নং-৪৩
উত্তরা ঢাকা ১২৩০
মেইলঃ sangbadprto@gmail.com
ফোন নাম্বারঃ ০১৭০১৮৮৬৭৬৬ ০১৯১১৫৫৮৮৬৩।
টপ
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আগামী ০৫ (পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে বিএনপি’র গণসমাবেশ ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়ন বিএনপির বিশাল মিছিল গাজীপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিশাল র‍্যালী ও আলোচনা সভা কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে ৩১ জানুয়ারি-২ ফেব্রুয়ারি ও ৭-৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যৌথ বাহিনীর হাতে ছাত্র হত্যা মামলার আসামী বোরহান উদ্দিন ও লুৎফর রহমান সানি গ্রেপ্তার বাংলাদেশ থেকে আরো রোহিঙ্গা নেবে অস্ট্রেলিয়া-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু মহামারী থেকে বাঁচাতে বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান