নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,ভারত,দক্ষিণ আফ্রিকাসহ পৃথিবীর যেসব দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতির পিতা নির্ধারিত রয়েছে,সেসব দেশে জাতির পিতার ব্যাপারে কোন বিভেদ নেই,কোন সমালোচনা নেই।তেমনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপারেও কোন বিভেদ থাকতে পারে না, সমালোচনা থাকতে পারে না।জাতির পিতা একটি জাতির আদর্শ ও সংহতির প্রতীক।প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন,১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের শিশুদেরকে জাতির সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়া হয়নি।এ সময়ে যেসব শিশু-কিশোররা বড় হয়েছে,তাদেরকে মিথ্যা ইতিহাস শিক্ষা দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়া হয়নি।তিনি বলেন,১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন প্রজন্ম জাতির সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইমরুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত।স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন।প্রধান আলোচক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন,বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়মতান্ত্রিক ভাবে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।তিনি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন।ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন,বঙ্গবন্ধু জন্মদিনে শিশুদের নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন।তিনি নতুন প্রজন্মকে সত্যিকারের দেশপ্রেম ও মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চেয়েছেন।
ড. আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু রচিত তিনটি বই-‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’,’কারাগারের রোজনামচা’ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’শিশুদের জন্য পাঠ্যবই সমতুল্য হওয়া উচিত।বইসমূহ তাদের হাতে তুলে দেয়া আমাদের জাতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে।
Authorized ।। sangbadporto.com